
শাহ সুমন, বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজারের আলুর ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান ও তাহার ম্যানেজার বিক্রম শুক্ল বৈদ্য (২২) দ্বয় (২০ ফেব্রুয়ারি) বানিয়াচং হইতে তাহাদের সপ্তাহিক আলু বিক্রির বকেয়া টাকা কালেকশন করে নগদ- ৪,০০,০০০/- টাকাসহ মোটর সাইকেল যোগে হবিগঞ্জে ফেরত যাওয়ার পথে রাত্র ০৮.০০ ঘটিকার সময় তাহারা শুটকী ব্রীজের উত্তর পাশে ড্রাইভারশনের ইটসলিং রাস্তার উপর পৌছিলে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত শুটকী ব্রীজের ড্রাইভারশনের দুই পাশের খুটিতে রশি বাধিয়া মোটর সাইকেল আরোহী হাফিজুর রহমানদ্বয়ের মোটর সাইকেল আটকাইয়া মারধর করতঃ সঙ্গে থাকা নগদ ৪,০০,০০০/-টাকা ও ২টি এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোন ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর এসএম মুরাদ আলি, পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ মহোদয়ের দিক- নির্দেশনায় মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), হবিগঞ্জ নেতৃত্বে মোহাম্মদ এমরান হোসেন, অফিসার ইনচার্জ, বানিয়াচং থানা, হবিগঞ্জ, আল আমিন, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, হবিগঞ্জ সংগীয় এসআই শামছুল ইসলাম, এসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, এএসআই মোঃ তোহাদের সমন্বয়ে পুলিশের একদল চৌকস টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন। বিশ্বস্থ্য গোপ্তচর নিয়োগ করিয়া বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে জড়িত ডাকাত ফজলু মিয়া (৫০), পিতা- মৃত সওদাগর উল্লা, সাং- দোয়াখানী, থানা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জকে (২১ ফেব্রুয়ারি) তারিখ ২১;২০ ঘটিকার সময় নিজ বাড়ী হইতে গ্রেফতার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে ডাকাত ফজলু মিয়াকে ব্যাপক বিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ডাকাত ফজলু মিয়া ঘটনার সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। ডাকাত ফজলু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তাহারা ঘটনার একদিন পূর্বে ফজলু মিয়ার আলুর দোকানে ব্যবসায়ী হাফিজুরের টাকা ডাকাতি করার জন্য সহযোগী ৭/৮ জন ডাকাতসহ পূর্ব পরিকল্পনা করে। ব্যবসায়ী হাফিজুর মিয়া বড় বাজার, আদর্শ বাজার হইতে আলু ব্যবসার টাকা উত্তোলন করে (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত্র ০৭.৩০ ঘটিকার সময় দোয়াখানী গ্রামের আলু ব্যবসায়ী ডাকাত ফজলুর দোকান হইতে ব্যবসার ১৫,০০০/-টাকা গ্রহন করেন। পার্শ্ববর্তী ছাবির মিয়ার দোকান হইতে ২২,০০০/-টাকা এবং জুলহাস মিয়ার দোকান হইতে ১০,০০০/-টাকা গ্রহন করেন, এছাড়াও ইতিপূর্বে অন্যান্য বাজার হইতে উত্তোলন টাকাসহ মোট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা নিয়া মোটর সাইকেল যোগে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এই সময় ডাকাতরা কয়েকজন ২ টি মোটরসাইকেলে এবং কয়েক জন বন্দের বাড়ি দিয়ে পায়ে হেটে ঘটনাস্থল শুটকি ব্রীজ ডাইভারশনে পৌছায়। আলু ব্যবসায়ী হাফিজুর মিয়া টাকা নিয়া মোটর সাইকেলে রওয়ানা দিয়া রাত্র অনুমান ২০.০০ ঘটিকার সময় শুটকী ব্রীজের উত্তর পাশে ড্রাইভারশনের ইটসলিং রাস্তার উপর পৌছিলে ডাকাতরা ব্রীজের ষ্টীলের খুটির সাথে এপার উপার রশি বাধিয়া মোটর সাইকেল আরোহী হাফিজুর রহমান ও তাহার ম্যানেজার বিক্রমকে আটক করিয়া মারধর করতঃ সঙ্গে থাকা ব্যাগে নগদ-৪,০০,০০০/-টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন ডাকাতি করিয়া নিয়া যায়। অতঃপর ডাকাতরা টাকাসহ ফজলু মিয়ার দোকানে গিয়া ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি করিয়া নেয়। ডাকাত ফজলু মিয়া ডাকাতির ভাগের ১৫,০০০/-টাকা পায়। ডাকাত ফজলু মিয়ার হেফাজত হইতে উক্ত ১৫,০০০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
অদ্য-২২/০২/২০২২ তারিখ ডাকাত ফজলু মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইলে ডাকাত ফজলু মিয়া বর্ণিত ডাকাতির ঘটনায় সে সহ আরো ৮জন ডাকাত জড়িত মর্মে নাম প্রকাশ করে জনাব মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট, হবিগঞ্জ মদোদয়ের আদালতে সেচ্ছায় ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।