
কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর কাছে দেড় সহস্রাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাগ্নে।
সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ হানিফ আনসারির কাছে হেরে যান মাহবুব রশিদ মঞ্জু।
কাজী হানিফ আনসী ৫৪২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাগ্নে মঞ্জু ৩৮৫৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। আর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল ৪২১৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে চরপার্বতীর প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, আওয়ামী লীগের দুপক্ষের দ্বন্দ্বের সুযোগে জামায়াত তাদের নারী-পুরুষ সব ভোট প্রয়োগ করায় এমন ফলাফল হয়েছে।
জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, কাজী হানিফ এলাকায় খুব জনপ্রিয়, দুবার ভোট করেও অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরেছিলেন। এবার ভোটাররা তাকে বেছে নিয়েছেন।
ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ আনসারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রামপুর ও চরফকিরায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দুই ভাগ্নে সিরাজিস সালেকিন রিমন ও মোহাম্মদ জায়দল হক কচি জিতলেও চরপার্বতী ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর কাছে ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ধরাশায়ী হন।