
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ফের বুধবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজের প্রতিষ্ঠিত দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েই বিজেপি তথা মোদি সরকারকে দেশের অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করেন। একইসঙ্গে বিজেপির শাসনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। সরাসরি মোদির নাম না করে মমতা বলেন, একটার পর একটা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এমন সমস্ত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আগের তুলনায় খুব খারাপ হয়েছে। অথচ একসময় বাংলাদেশই ছিল আমাদের নিকটতম ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আজ তারা দূরে সরে গিয়েছে। নেপালের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এ সরকারের আমলে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক শুধু ভালো নয়, দুজনের মধ্যে দিদি-বোনের অন্তরঙ্গতা। পদ্মার ইলিশ থেকে রাজশাহীর আম নানা সময়ে মমতাকে পাঠান বঙ্গবন্ধুকন্যা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এদিন সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করেছিল ১৯৯৮ সালে মমতার হাতে তৈরি রাজনৈতিক দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অন্য রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি এদিন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেন।
মমতা বলেন, শিগগির ওয়ার্কিং কমিটি নির্বাচিত হবে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা থাকবেন। প্রথম বৈঠক হবে দিল্লিতেই। দলের সহ-সভাপতি হিসাবে এদিনই অটল বিহারি মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার নামও ঘোষণা করেন মমতা। তৃণমূলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েই ২০২৪ সালে বিজেপিকে দিল্লি থেকে সরানোর ঘোষণা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মমতা বলেছেন, ‘বাংলায় নিজেদের ঘর সামলান। এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠুন যাতে ২০২৪ সালে ৪২টি লোকসভা আসনের ৪২টিই পায় তৃণমূল।’