
যাত্রীসেবার চেয়ে কার্গো ব্যবসা কয়েক গুণ বেশি লাভজনক হলেও নিজস্ব কার্গো পরিবহন নেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের।
দুই বছর আগে উদ্যোগ নিলেও দৃশ্যমান নেই কোনো পদক্ষেপ। এ জন্য বিমান খাতে অদক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগিরই আলাদা ইউনিটের মাধ্যমে কার্গো পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অভ্যন্তরীণ যাত্রী ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে দূরপাল্লার যাত্রীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ব্যবসায়িকভাবে কার্গো ব্যবস্থাপনা বেশি লাভজনক হলেও এ খাতে পিছিয়ে রয়েছে।
আকাশ পথে পণ্যপরিবহন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রীবাহী বিমানে জনবলসহ অভ্যন্তরীণ নানা ধরনের ব্যয় থাকায় লাভের অংক খুবই কম। এক্ষেত্রে জোর দিতে হবে ডেডিকেটেড নিজস্ব কার্গো পরিবহনে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, প্যাসেঞ্জার বহনে শতভাগ বুকিং নিয়েও খুব একটা বেশি লাভ করতে পারবেন না। যদিও বিজনেস ক্লাস আপনি পূর্ণ করছেন। কার্গোতে হচ্ছে লাভ। এতো বছর ধরে চাইনিজ কেরিয়ারগুলো এখান থেকে অপারেটর করছে, বিমান চায়নাতে যেতে পারছে না।
উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডে পণ্য পরিবহন ও আয়ের পরিমাণ ২০১৬-১৭- ৩৩ হাজার ৪২ টন, ২০১৭-১৮-৩২ হাজার ৬৬০ টন, ২০১৮-১৯- ৩৬ হাজার ২৮ টন ও আয় ৬৯৬ কোটি টাকা।
বিগত বছরগুলোতে বিমানের কার্গো হোল্ডের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ও আয়ের তথ্যই জানান দেয় কতটা লাভজনক এ খাত। এমন অবস্থায় কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় ২০১৯ সালে বিমানের সক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিলেও আলোর মুখ দেখেনি দু’বছরে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্রুতই আলাদা ইউনিটের মাধ্যমে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা নেবেন তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা পৃথক ইউনিট করে বা এটার আধুনিকায়ন করে লাভজনকভাবে এর যাত্রা অব্যাহত রাখা যায় সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি।
বিমানকে ডেডিকেটেড কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরও তা দৃশ্যমান না হওয়ায় বিমানের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।