তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেটি বাস্তব ও ধ্রুব সত্য এবং দিবালোকের মতো স্পষ্ট, সেটিকে যখন কোনো রাজনীতিবিদ বা দল অস্বীকার করে, তা শুধু শঠতা নয়, দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা। বিএনপি এটি করছে এবং আমাদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে তারা যে র্যালি করেছে, সেখানেও তারা এমন মিথ্যাচার করেছে।
সোমবার বিকালে ঢাকায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (এনআইএমসি) শেখ রাসেল মিলনায়তনে এনআইএমসি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অনেকের পছন্দ নয়। এজন্যই মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, পঞ্চাশ বছরে দেশ না কি আগায়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়েছে। আমি তাকে প্রশ্ন রাখতে চাই, স্বাধীনতার সময় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল একশ ডলারের কম, ১৩ বছর আগে ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল প্রায় ৬০০ ডলার, আর আজকে সেটি চারগুণেরও বেশি বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে জনসংখ্যা ৪১ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এগুলো তারা দেখেও দেখতে পায় না।
ড. হাছান বলেন, বিএনপি দেশের নেতৃত্ব দিতে চায়। কিন্তু আমরা ফেসবুকে দেখলাম, সিলেটের সমাবেশে তারা কীভাবে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করলেন। কে চেয়ারে বসবেন, সেটি নিয়ে যারা এভাবে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারামারি করতে পারে, দেশের চেয়ারে বসা নিয়ে বা বসতে পারলে তারা যে কি করবেন, তা সহজেই অনুমেয়।
অবশ্যই রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয় এবং সবাইকে একযোগে দেশের জন্য কাজ করতে হবে, বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এনআইএমসির মহাপরিচালক শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামীম চৌধুরী বিশেষ অতিথি ও বিসিটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য দেন।