চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে দেশের ৩২টি জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আগামী ২২ তারিখ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।”
প্রথম দিন ঢাকা বিভাগে টাঙ্গাইল, খুলনা বিভাগের যশোর, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ হবে।
২২, ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন বিভাগের জেলা সদরে প্রতিদিন ৬টি এবং ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন ৭টি করে সমাবেশ হবে।
এই কর্মসূচি সফল করতে জাতীয় পর্যায়ে কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। এসব সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বক্তব্য রাখবেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ, গণঅনশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্মারকলিপি দেওয়ার পর জেলায় জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি দিল বিএনপি।
বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ম্যাডামের শরীর আবারো একটু খারাপ হয়েছে। তার বিভিন্ন প্যারামিটারগুলো নিচের দিকে। হিমোগ্লোবিন কমের দিকে।”
রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা এখন বন্ধ আছে।”
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।