ডিজেলের দাম বাড়ানোয় কৃষি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলে স্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব কৃষি ক্ষেত্রে পড়বে কি না, এ ক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের কীভাবে সহায়তা করবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী তিনি এ কথা জানান।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এমনি আমাদের কৃষকরা নানান সমস্যায় জর্জরিত। পিক সিজনে তারা ফসলের দাম পায় না। সেজন্য কৃষিপণ্য প্রসেসিংয়ের কথা আমরা বলছি, বাণিজ্যিকীকরণ কিংবা বিদেশে রপ্তানি বাজারে গিয়ে তারা যাতে ভালো দাম পায়, এগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টার উপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, সারের দাম ২৫০-২৩০-২৭০ ডলার ছিল সেটা এখন ৮০০-৯০০ ডলার। ৪ গুণ বেড়েছে। আমরা সারের ক্ষেত্রে ৯০০ কোটি টাকা সাবসিডি (ভর্তুকি) দেই। এটা এবার মনে হয় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত আমাদের বলেছেন, উনি সারের দাম বাড়াবেন না।’
৪০ শতাংশ সেচ মেশিন বিদ্যুতে চলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের খুব অসুবিধা হবে না। কিন্তু ডিজেলের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। দেখা যাক দামের ট্রেন্ডটা তো কমের দিকে আছে, যদি কমে সরকারও ডিজেলের দাম কমাবে।’ এসময় কৃষিমন্ত্রী জানান, পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদনে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদন ও সংরক্ষণকাল বৃদ্ধির প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে নেদারল্যান্ডস।’ মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সহায়তা পেলে আশা করছি ইনশাল্লাহ গ্রীষ্মকালেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।’