আগামী শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) পূর্ণিমার দিনই এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। টানা তিন ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড ধরে স্থায়ী হবে এই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। এ সময় চাঁদের রং হবে প্রায় রক্তিম লাল। তাই রঙের কারণে এর নাম ‘ব্লাড মুন’ বা ‘বিভার মুন’। তবে এই শতাব্দীতে আর এতটা সময় ধরে বিশেষ এই ব্লাড মুন দেখা সম্ভব হবে না। খবর ফক্স৫৯ এর।
আমেরিকার ইন্ডিয়ানায় বাটলার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলকোম্ব অবজারভেটরি ও নাসা জানিয়েছে, ৫৮০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণটি শুক্রবার দেখা যাবে চীন, জাপান, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, মঙ্গোলিয়া, ম্যাকাওসহ গোটা পূর্ব এশিয়ায়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ইউরোপে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতেও ব্লাড মুনের দেখা মিলবে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
খণ্ডগ্রাস চূডা়ন্ত মুহূর্তে পৌঁছবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ দৃশ্য দেখার সুযোগ হবে না। পূর্ণিমার চাঁদের আকারের চেয়ে কিছুটা ছোট হবে শুক্রবারের চাঁদ। পৃথিবীর ছায়ায় সেই চাঁদের ৯৭.৪ শতাংশই ঢাকা পড়ে যাবে। ফলে, আক্ষরিক অর্থে খণ্ডগ্রাস হলেও শুক্রবারের চন্দ্রগ্রহণ অনেকটাই হবে পূর্ণগ্রাসের মতো।
শুক্রবারের পূর্ণিমার চাঁদের রং অবশ্য পুরোপুরি লাল হবে না। পৃথিবীর ছায়া ঢাকতে পারবে না বলে চাঁদের মাত্র ৩ শতাংশ আলোকিত হবে সূর্যালোকে। প্রদক্ষিণের পথে পূর্ণিমার চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে পুরোপুরি ঢুকে গেলেই হয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।