এ ছাড়া ‘ধ্বংসের রাজনীতির উত্তরাধিকার বহন করছে বিএনপি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খুন, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র বিএনপির মজ্জাগত।’ ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি নেতারা একদিকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয়, অন্যদিকে বলে—স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে আপত্তি নেই’—উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁদের এ দ্বৈতনীতি বা দ্বিচারিতার রাজনীতি, দেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় অন্যতম প্রধান বাধা।’
‘সরকার ও দেশের যেকোনো ভালো কাজকে বিতর্কিত করাই বিএনপির কাজ’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে।’
‘বিএনপির বর্ণচোরা রাজনীতির মুখোশ এখন উন্মোচিত। দেশের মানুষ তাদের কথা ও কাজে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে’ বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
‘বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথা এক যুগের বেশি সময় ধরে মানুষ শুনে আসছে। কিন্তু, আন্দোলন আর দেখে না জনগণ’—এমনটা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তাদের আন্দোলন বানরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠার অংকের মতোই।’
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিনেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘মারণঘাতী কর্মসূচি সরকার নয়, বিএনপিই পালন করছে।’
‘ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতি সন্ত্রাসের মূল কুশীলব ছিল বিএনপি’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকানি ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বিএনপিই তাদেরকে পুনর্বাসন করেছে।’
‘আগুন-সন্ত্রাসের মতো মারণঘাতী কর্মসূচির জনক বিএনপি’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো আছে, শুধু ভালো নেই বিএনপি।’
‘সাধারণ মানুষ আতঙ্কে নেই, বরং সন্ত্রাসী, অনিয়মকারী, দুর্নীতিবাজ এবং বিএনপির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা আতঙ্কে আছে’ দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিনেতারা অপরাধীদের জন্য মায়াকান্না কাঁদে।’
‘তাদের এ অপরাজনীতির শেষ কোথায়?—প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের।