মরিচ চাষ হলো মহাকাশে। প্রায় চার মাস আগে মহাকাশে রোপণ করা মরিচ গাছে ফুল এসে পরিপক্ব মরিচ হয়েছে। সেই গাছের প্রথম মরিচের স্বাদ পেলেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা নাসার মহাকাশচারীরা। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, মরিচ তো আর এমনি এমনি খাওয়া যায় না! তাই প্রথম ফলনের মরিচ দিয়ে সুস্বাদু খাবার বানিয়ে ফেলেন তারা। ভুট্টার রুটির মধ্যে মুড়ে নেন বিফ, টমেটো ও আর্টিচোক। তার উপর টাটকা মরিচ কুচি। মুখে দিতেই ঝালঝাল স্বাদ ও গন্ধে অনেক মজা। মহাকাশে বানানো ‘টাকো’ বলে কথা!
‘টাকো’ হলো এক ধরনের মেক্সিকান খাবার। ভুট্টার রুটির মধ্যে মাংস বা মাছের পুর, পেঁয়াজ, মরিচ, ধনে পাতা কুচি ও সস দেয়া হয়। খেতে অনেকটা আমাদের চিকেন রোলের মতোই, তবে অনেক বেশি নরম।
নাসার মহাকাশচারী মেঘান ম্যাকআর্থার মরিচের প্রথম ফলন এবং খাবারের ছবি শেয়ার করেন। মজার ছলে তিনি এটির নাম দেন ‘স্পেস টাকো’। স্পেস স্টেশনের গবেষণার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও গাছে হওয়া মরিচ এবং তার ফুলের ছবি শেয়ার করা হয়।
মহাকাশে ‘হ্যাচ চিলি’ প্রজাতির মরিচ ফলানো হয়েছে। নিউ মেক্সিকোর হ্যাচ ভ্যালি এলাকায় এর চাষ হয়। সেই কারণেই এই নামকরণ। বিভিন্ন মেক্সিকান রান্নায় এটি ব্যবহৃত হয়।
মরিচে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি ভিটামিন সির ভালো উৎস। মরিচ স্ব-পরাগায়নকারী। এর ফলে ফলন আনা সহজ। তাছাড়া মরিচ মহাকাশচারীদের ডায়েটে সুস্বাদু বৈচিত্র্য আনে।