বিএমইটির ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডধারী দুবাইগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে আটকাবে না ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএমইটির ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড (বিএমইটি কার্ড) থাকার পরও সম্প্রতি ভিজিট ভিসায় দুবাইগামী কর্মীদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছিল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, “আমরাতো অভিবাসী আইন অনুযায়ী সকল পদ্ধতি অনুসরণ করেই একজন কর্মীকে ছাড়পত্র বা বিএমইটির স্মার্ট কার্ড দেই। এখানে তো কর্মীদের যেতে না দেয়ার বিষয় নেই। আজকের বৈঠকে সবাই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। এখন থেকে বিএমইটি কার্ড থাকলে ভিজিট ভিসায় দুবাইগামী কর্মীদের আটকাবে না ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।”
২০১২ সালের পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী ভিসা বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি ভিজিট ভিসায় গিয়ে আমিরাতে কর্মী ভিসায় পরিবর্তনের সুযোগ দেয় দেশটি। এরপর বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন অনেক কর্মী। অধিকাংশই সরাসরি ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই গিয়ে কর্মী ভিসায় পরিবর্তন করেছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ আগাম কর্মী ভিসা নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিএমইটি থেকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই কর্মীদেরও আটকে দেয় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।