সিট ব্যাক ডিফেন্ডিঙের চড়ামূল্য দিয়ে আরও একবার সাফ ফুটবলের ফাইনালের টিকেট হাতছাড়া করলো বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় এগিয়ে থেকেও ৮৭ মিনিটে পেনাল্টিতে নেপালের বিপক্ষে গোল খেয়ে হাত ছোঁয়া দূরত্ব থেকেও ফাইনাল থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক দূরেই থেকে গেল অস্কার ব্রুজনের বাংলাদেশ।
ফাইনাল খেলতে হলে জয় লাগবেই বাংলাদেশের; আর ড্র হলেই চলে নেপালের- এরকম এক সমীকরণ সামনেই নিয়ে শুরু হওয়া অলিখিত সেমিফাইনালে ম্যাচের ৯ মিনিটে ফরোয়ার্ড সুমন রেজার গোলে শুরুতেই মূল্যবান লিড পায় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধের খেলায় বাংলাদেশ বেশি আক্রমণ করলেও বলের দখলে এগিয়ে ছিল নেপাল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুর পর আক্রমণের ধার বাড়ায় নেপাল। অতি কাঙ্ক্ষিত একটি গোলের জন্যই মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যায় নেপাল। সেসব আক্রমণ প্রতিহত করতে তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন বাদশাদের ডিফেন্স লাইনকে কাটাতে হয় ব্যস্ত সময়। কিন্তু সেই ডিফেন্সও ভেঙে যাচ্ছিল মাঝেমধ্যেই, আর তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশের ‘দ্য ওয়াল’ জিকো। কিন্তু ম্যাচের ৭৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে গেছেন নেপালের মুহূর্মুহূ আক্রমণের স্রোত থেকে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তার বদলে গোলবার সামলাতে নেমে দারুণ কিছু সেভ করেছেন আশরাফুল ইসলাম রানা।
কিন্তু ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তেই ঘটে গেল প্লট টুইস্ট। জয়ের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ শিবির যখন জয়ের জন্য গুণছে অপেক্ষার প্রহর, তখনই ম্যাচের ৮৮ মিনিটে নেপাল পেয়ে যায় পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে অঞ্জন বিস্টার লক্ষ্যভেদে ফুটো হয়ে যায় বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার আশার বেলুন।
গোল হজম করার পরই গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে প্রায় পুরো অর্ধ জুড়েই সিট ব্যাক ডিফেন্ডিং করে যাওয়া ব্রুজন শিষ্যরা। কিন্তু ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে অনেক সময়। শেষ বাঁশির সাথে লাল-সবুজ শিবিরে ছড়ালো কেবলই হতাশা আর আফসোস; অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে না গেলে এবার হয়তো ফাইনালটা খেলা হতো বাংলাদেশের।