আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভেন্টিলেটর কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে বলিভিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারসেলো নাভাহাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার লা পাজ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি বলিভিয়া সরকারের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য স্পেনের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মূল দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দিয়ে ভেন্টিলেটর কেনার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত চালু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য টেলিগ্রাফ।
খবরে বলা হয়, গত ৮ই এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন নাভাহাস। তার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আনিবাল ক্রুজ। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেন।
নাভাহাসের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী রোজারিও কানেদো। মন্ত্রীর গ্রেপ্তারকে একটি ‘কুকীর্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যম লা পাজকে তিনি বলেন, আমরা কি আইনের অধীনে আওতায় বাস করছি নাকি স্বৈরাচারী ও টোটালিটারিয়ান সরকারের অধীনে বাস করছি? লা পাজ শহরের পুলিশ প্রধান কর্নেল ইভান রোজাস জানান, নাভাহাস সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরো দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে ভেন্টিলেটর কেনায় দুর্নীতির খবর প্রকাশ হলে মঙ্গলবার এ নিয়ে তদন্ত চালু করেন বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট জেনিন আনিয়েজ। স্থানীয় পত্রিকা প্যাগিনা সিয়েতের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৭০টি ভেন্টিলেটরের জন্য স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান জিপিএ ইননোভাকে ৩৭ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। অথচ ভেন্টিলেটরগুলোর প্রকৃত মূল্য ছিল ১২ লাখ ডলার। অন্যান্য গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ১৭৯টি ভেন্টিলেটর কিনেছে সরকার।
তবে বুধবার এক টুইটে আনিয়েজ জানান, চুক্তিটি মূলত ৪৮ লাখ ডলারের ছিল। এর মধ্যে সরকার ২০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। তিনি বলেন, আমি আর একটি পয়সাও পরিশোধ না করার নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলবে। তবে চুক্তিটি কবে স্বাক্ষর কররা হয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির উপাত্ত অনুসারে, এখন পর্যন্ত বলিভিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। মারা গেছেন অন্তত ১৮৯ জন করোনা রোগী।