দাড়ি কামানো এবং নামাজ না পড়ার অপরাধে আফগান বাসিন্দাদের পেটাচ্ছে তালেবান। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
অনেকে বলছেন, ইচ্ছে মতো দমন-পীড়ন চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। আর তালেবানের দাবি, যে কোনো মূল্যে আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠা করা হবে শরিয়াহ আইন।
কাবুলের প্রতিটি সড়কে ২৪ ঘণ্টাই থাকে তালেবানের টহল। পথে ঘাটে অপরাধ করে পার পাওয়ার উপায় নেই কারও। তালেবান বলছে, অপরাধের সাথে জড়িয়েছে এমন কারও খোঁজ পেলেই আটক করা হচ্ছে তাকে। পাঠানো হচ্ছে কারাগারে।
শুধু হত্যা, ছিনতাই, রাহাজানি নয়, দাড়ি কামানো বা নামাজ না পড়ার মতো অপরাধেও শাস্তি পেতে হচ্ছে আফগানদের। এতে তালেবানের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মাঝে। তারা বলছেন, ৯০’র দশকের শাসন ব্যবস্থায় ফিরছে তালেবান।
বাসিন্দারা বলেন, দেশে এখন কোনো আইন নেই, কোনো বিচার ব্যবস্থা নেই। তালেবান যা বলবে আপনাকে তাই মানতে বাধ্য। না হলে চালানো হচ্ছে নির্যাতন।
কেউ কেউ বলেন, দেশের ইতিহাসে সেরা শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করছে তালেবান। এখন আর কেউ অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন করার সাহস পায় না।
তালেবান বলছে, দেশে শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠার জন্যই বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ করেছে তারা। সবাইকে ইসলামের আদর্শ মেনে চলার আহ্বানও জানানো হয়।
আফগানিস্তানের তালেবান বিচারক মোহাম্মাদ শায়ির বলেন, বহু ত্যাগ স্বীকার করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। এখন সংগ্রাম করছি যেন শরিয়া আইন মেনে সব কিছু পরিচালনা করতে পারি। আগামী দিনগুলোতেও প্রতিষ্ঠা করতে চাই শরিয়া আইন।
সম্প্রতি দেশটির হেরাত প্রদেশে অপহরণে দায়ে চার জনকে হত্যার পর মরদেহ ক্রেনে ঝুলিয়ে রাখে তালেবান। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে গোষ্ঠীটি।