মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছে খাগড়াছড়ির সাংবাদিকরা।
গতকাল বুধবার খাগড়াছড়িতে নবনির্মিত শিল্পকলা একাডেমির ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে এবং বাইরে এসে প্রতিবাদ করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ জহুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, অর্থ সম্পাদক মিজ চিংমে প্রু মারমা। এ ছাড়াও প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য্য, সাংবাদিক জয়ন্তী দেওয়ান, সমীর মল্লিক, আল মামুন, লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, জাফর সবুজসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বসার জন্য কোনো আসন রাখা হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এক পর্যায়ে মন্ত্রীর গণসংযোগ কর্মকর্তার আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সামনে খালি হয়ে যাওয়া প্রথম সারির আসনে সাংবাদিকদের বসান।
কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট সাকিল সাংবাদিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এগুলো সংরক্ষিত ভিআইপি আসন, আপনারা উঠে যান।’ এ অসৌজন্যমূলক আচরণে সাংবাদিকরা বিব্রত হন এবং প্রতিবাদে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ জহুরুল আলম বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠানের সংবাদ বর্জন করেছি এবং অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমা না চাইলে ভবিষ্যতে জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মসূচিতে সাংবাদিকরা অংশ নেবে না এবং সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবে।’