ঘূর্ণিঝর আম্ফানের প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল ও অরক্ষিত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বেঁড়িবাধের বাইরে থাকা কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে পানিবন্ধী লোকদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ এ উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। প্লাবিত গ্রাম গুলো হচ্ছে- রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চরকাশেম, মাঝের চর, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বিবির হাওলা, গরুভাঙ্গা, মধ্য চালিতাবুনিয়া, উত্তর চালিতাবুনিয়া ও লতার চর।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান জানান, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৭১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
এখনো যারা সাইক্লোন সেল্টার বা নিরপাদ আশ্রয়ে যায়নি, তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।