ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। রোববার দিনগত রাতে ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান মিয়ার ছেলে মো: ওমর ফারুক মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওমর ফারুক মিয়ার (৪৫) মা রাশিদা (৫৫), স্ত্রী নার্গীস (৩৮), ও তাদের দু’সন্তান একজন কাদিরদী ডিগ্রী কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম (১৯) অন্যজন সাতৈর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম (১৫) বেলা এগারোটায় সকালের খবার রুটি ও আলুভাজি খাই। তারা চারজনই আলুভাজি ও রুটি খেয়ে তখনই অচেতন হয়ে যায়। তাদের কে সন্ধ্যার সময় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান বাড়ির মালিক ফারুক।
তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ির সাথে শ্বশুর বাড়ি। তারা দু’জন এক সপ্তাহ আগে বরিশাল আত্মীয় বাড়ি যায়। এবং তিনি রাত সাড়ে দশটায় বাড়িতে ফিরে আসে। এসময় বাড়িতে লোক না থাকলে সে পাশের বাড়ি থেকে তার চাচা করিম ও চাচি রাশিদা বেগমকে শ্বশুররের রুমে ঘুমাতে বলেন। ওই রাতেই পাঁচ ছয়জনের একদল ডাকাত আড়াইটার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে শ্বশুরের ঘরে ঘুমানো চাচা-চাচিকে অস্ত্রের মুখে ফেলে হাত পা ও মুখ বেঁধে, ঘরের ভেতরের আলমারি, বাক্স, ও বিভিন্ন আসবাব পত্র তছনছ করে। তার পাশে আমার বিল্ডিং ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে তিন জন ডাকাত অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে গেলে আমি চিৎকার দিলে তারা ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। আমি তাদের মুখ দেখেছি তবে কাউকে চিনতে পারিনি। তবে যারা ডাকাতি করতে এসেছিল সকলে অল্প বয়সের যুবক। ডাকাত দল কি নিয়েছে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, আমার শ্বশুর -শ্বাশুড়ি বাড়িতে না আসলে বলতে পারবো না কি কি খোয়া গিয়েছে।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ অহিদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতি হয়েছে বলে থানায় খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলাম। সেখানে কেউ কোন প্রকার ইনজুরি হয়নি। তবে এক মহিলার দুই আনা স্বর্ণের দুল নিয়েছে বলে জানা গেছে। থানায় এখনো মামলা হয়নি। বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে।