ভোলার দৌলতখানের হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ভবনটি নির্মাণ হয়েছিল বছরখানেক আগে। তিনতলা স্থাপনা তৈরিতে ব্যয় হয়েছিল এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সম্প্রতি নিলাম ডেকে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় স্কুলটি বেঁচে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। স্থানীয় এক শিশুর ভাষ্যে, এই চরে নেই কোনো মানুষজন, তবু বানানো হয়েছিল স্কুলটি।
স্থানীয়রা বলছেন, হাজীপুর এলাকাটি চরাঞ্চল এবং ভাঙন কবলিত। এর আগেও সেখানে গুচ্ছগ্রামের ৪২০টি ঘর, সাইক্লোন শেল্টার, ব্রিজ-কালভার্ট, সড়কসহ শত কোটি টাকার নানা স্থাপনা একের পর এক নদীতে বিলীন হয়েছে। তবুও সেখানেই স্কুলভবন নির্মাণ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তারা বলছেন, এসব চরে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করার আগে সমীক্ষা করে দেখা উচিত, তা উপযোগী কিনা।
দৌলতখান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হোসেন সব দায় এলজিইডির ওপর চাপিয়ে বলেন, এখানে স্কুল করার জন্য সাইট সিলেকশন করেছ তারা, প্রাক্কলন করেছে তারা, সবকিছু করেছে তারাই, তাই তারাই বলতে পারবে এখানে কেন বানানো হয়েছে স্কুলটি।
তবে এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি এলজিইডিসহ প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা।