আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ অটোপাশ হলেও করোনার কারণে বাতিল হওয়া ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সব টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে সীমান্ত আদর্শ কলেজের বিরুদ্ধে।
গত ২৮ জুন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে পনি/উমা/বিজ্ঞপ্তি/১০৫ নং স্মারকে পরীক্ষা নিয়োন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র সকলের টাকা ফেরত দেওয়া নির্দেশ দিলেও আজও পর্যন্ত সকলের টাকা ফেরত দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।বরণ কলেজ অধ্যক্ষের নির্দেশেই পাওনা টাকার অর্থেক টাকা ফেরত দিয়ে সব টাকা ফেরত দেওয়ার হয়েছে মর্মে সীটে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানাযায়, সীমান্ত আদর্শ কলেজ থেকে ২০২০ সালে ৩৬১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করে। যার মধ্যে বিজ্ঞানে ২৭ জন, বাণিজ্যে ৪৬ জন এবং ও মানবিকে ২৮৮ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করে। কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা গ্রহণ না করে সরকারি সিদ্ধান্তে শতভাগ শিক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে গত ২৮ জুন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে পনি/উমা/বিজ্ঞপ্তি/১০৫ নং স্মারকে পরীক্ষা নিয়োন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশে বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি পরীক্ষার্থীকে ১ হাজার ৬৫ টাকা, বাণিজ্য ও মানবিক শাখার প্রতি পরীক্ষার্থীকে ৭৪০-৮৪৫ টাকা এবং এক বিষয়ে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ২০০ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু বোর্ডের নির্দেশনা মাতাবেক বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৬৫ টাকা ফেরত দেওয়া কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা। বানিজ্য বিভাগে ৭৪৫ টাকা ফেরত দেওয়া কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং মানবকি বিভাগে ৮৫০ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে পাঁচশত টাকা। বাকি টাকা ফেরত না দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৬৫ টাকা বানিজ্য বিভাগে ৭৪৫ টাকা এবং মানবকি বিভাগে ৮৫০ টাকা ফেরত দেওয়ার হয়েছে মর্মে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এরই মধ্যে কলেজ অধ্যক্ষ মো. আজিজুল ইসলামে নির্দেশে ২১০ জন শিক্ষার্থীকে কম টাকা ফেরত দিয়ে শীটে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫১ জনকে টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সাথে অফিসের প্রধান সহকারী মো. খায়রুল ইসলাম এসব শিক্ষার্থীর নম্বরপত্র বিতরণের জন্য দুইশত টাকা করে নিচ্ছে। কোন শিক্ষার্থী এ টাকা দিতে না পারলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টাকা কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে সীমান্ত আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের বর্তমানে ফান্ডে টাকা নেই, তাই বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক সব টাকা ফেরত দিতে পারছি না। তবে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে টাকা কম দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তিতে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।