ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের যেকোনও নির্বাচনে একবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ওই নেতাকে আর কখনই নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। আজীবনের জন্য দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হবে তাকে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
প্রায় প্রতিবারই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দেখা যায় আওয়ামী লীগের কোনও না কোনও নেতা ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন। ওই বিদ্রোহী প্রার্থীকে ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের। এ কারণে এবার এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
চলতি সপ্তাহে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আসবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম গত বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আগে এত কঠোর হইনি। বিদ্রোহী ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটা বাধ্য হচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমা করা হয়েছে। যার কারণে পরে লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। তবে এমনটা আর হবে না।’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েও নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ না কেউ থেকেই যায়। এখন থেকে নেতাকর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক গত শনিবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কিছু প্রার্থী নিজেকে জনপ্রিয় মনে করে নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। এতে দলীয় কোন্দল দূর করা যায় না। সাংগঠনিক দুর্বলতা দেখা দেয়। তৃণমূলের রাজনীতিতে ঐক্য ধরে রাখতে আমরা যাকে যোগ্য মনে করবো তাকেই মনোনয়ন দেবো। মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’