নীতি সুবিধায় লাগাম টেনে ধরায় বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ব্যাংকের আসল চিত্র। চলতি বছরের ৬ মাসেই খেলাপি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, কিস্তি পরিশোধে এখনও সুবিধা পাচ্ছে গ্রাহকরা। এটি পুরোপুরি প্রত্যাহার হলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। আর ব্যাংকাররা বলছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আবার সক্ষমতা থাকার পরও টাকা পরিশোধে অনেকে এটিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।
মহামারি করোনায় ঋণ পরিশোধে ছাড় পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। নীতি সহায়তার কারণে কিস্তি না দিয়েও খেলাপি হয়নি তারা। এখনো পাচ্ছে কিস্তি পরিশোধে ছাড়। এরপরও বাড়তে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
গত ৩ মাসে খেলাপি ঋণ যোগ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৯ শতাংশই খেলাপি। খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেকই সরকারি ব্যাংকের। সরকারি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২১ শতাংশ খেলাপি। বেসরকারি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপির পরিমাণ সাড়ে ৫ শতাংশের নিচে।
অবলোপন, পুনঃতফসিলীকরণ এবং মামলা জালে আটকে থাকা খেলাপি বিবেচনায় নিলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আড়াই থেকে ৩ লাখ কোটি টাকা।