বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে সকাল থেকে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন পরিবহন শ্রমিকরা। এরপর বরিশাল থেকে বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। দুপুর ১টার দিকে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়। ভোগান্তি থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা।
বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়। বর্তমানে বরিশাল নগরীর দুই প্রান্তে থাকা দুটি বাস টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে সদর উপজেলার ইউএনও ও বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে লঞ্চ মালিকরা সকাল থেকে ধর্মঘট ডেকেছিল। দুপুর থেকে তা আবার স্বাভাবিক হয়। রাতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যাবে।
ব্যানার-পোস্টার অপসারণকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনওর বাসভবনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আনসার সদস্যরা গুলি চালান। হামলা ও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ওসি ও প্যানেল মেয়রসহ সাত জন। এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।