ব্যক্তিগত তথ্যফাঁসের অভিযোগে ইসরাইলি স্পাইওয়্যারের বিরুদ্ধে মামলা করবেন দুবাইয়ের রাজকুমারী শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ আল মাখতুম।
রাজকুমারীর ব্রিটিশ আইনজীবী ডেভিড হ্যাই শেখ লতিফা এবং তার সাবেক শারীরচর্চার প্রশিক্ষক টিনার ব্যক্তিগত তথ্যফাঁসের অভিযোগে এ মামলা করছেন। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠে ইসরাইলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্রের অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে পেগাসাস কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, এনএসও গ্রুপ থেকে এই স্পাইওয়্যার কিনে নিজের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলো।
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৫০ হাজার টেলিফোনে আঁড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হন রাজকুমারী লতিফা। সেই সময় তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাজকুমারী বলছেন, তাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং তিনি প্রাণনাশের শঙ্কায় রয়েছেন।
ভিডিওটি প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজকুমারী লতিফার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এবং তিনি জীবিত আছেন কিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তার প্রমাণ চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
রাজপরিবারের পক্ষ থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজকুমারী শেখ লতিফা বাড়িতে আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছেন।
ওই ভিডিও প্রকাশের আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ২০১৮ সালের মার্চে শেখ লতিফা সমুদ্রপথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এর পরই তাকে বন্দি করে রাখা হয়।
সেই সময় ভাইরাল ওই ভিডিওতে রাজকুমারীকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না, বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। আমি কোনোভাবেই দুবাই ছাড়তে পারছি না।’
দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম একই সঙ্গে আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের ধনী রাষ্ট্র নেতাদের একজন তিনি।