করোনা ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রবাসীদের। তিন থেকে চারগুণ ভাড়া দিয়ে টিকা নিতে তাদেরকে রাজধানীতে আসতে হচ্ছে। নির্ধারিত দিনের টিকা পেতে হাসপাতালগুলোতে সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগের দিন সন্ধ্যা থেকে। টিকা নিয়ে কবে ফিরবেন প্রবাসে তাও নিশ্চিত নয়। রাজধানীর বাইরেও প্রবাসীদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থার দাবি তাদের।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই একদল মানুষ কোনমতে ঠাঁই নিয়েছেন একটি ছাউনির নিচে। এরা সবাই প্রবাসী। যাদের পাঠানো রেমিটেন্সে সচল থাকে দেশের অর্থনীতির চাকা। মহামারির সময়ে দেশে এসে পড়েছেন বিপাকে। এখন ফিরতে হলে নিতে হবে করোনার ভ্যাকসিন। তাই এই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে নানা ঝড়-ঝাপটা পাড়ি দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন রাজধানীতে। দিনান্তে ক্লান্তির সঞ্চয় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন কেউ কেউ।
টিকা নিতে আসা এক প্রবাসী জানান, আমার বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছি সকালে। যানবাহন না থাকায় ভেঙে ভেঙে ঢাকায় আসতে রাত হয়েছে। এখন অপেক্ষায় আছি সকাল হলে টিকা দেবো। আমার দেশে থাকার সময় শেষ। যত দ্রুতসম্ভব টিকা দিয়ে ফ্লাইটে উঠতে হবে।
ঢাকা মেডিকেলে টিকা নিতে এসে ভিড় করাদের সবাই আগের দিন বিকেল থেকে একে একে এসে জড়ো হয়েছেন। কেউ দুই মাস, কেউ এক মাস অপেক্ষার পর শেষমেশ এসেছেন ৪ আগস্টের টিকা দিতে। প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রম আরও সহজ করার দাবি দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে রাজধানীতে আসা এসব প্রবাসীর।
টিকা নিতে আসা কয়েকজন প্রবাসী জানান, আবেদন করার পর আমাদের ভ্যাকসিনের তারিখ আসতে প্রায় এক মাস লেগে যায়। কিন্তু এতো দীর্ঘসময় আমাদের ছুটি থাকে না। টিকা নিতে দেরি হওয়ায় অনেককে কাজ হারাতে হচ্ছে।
প্রবাসীদের এই কষ্টকে পুঁজি করে দুই পয়সা কামিয়ে নিতে ভুল করছেন না কেউ কেউ। বসার মাদুর আর বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা বিক্রি করেছেন দ্বিগুণ দামে।