ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর রেল স্টেশনে সরকারি মালামাল বহনকৃত ট্রাকের উপর হামলায় দায়েরকৃত অভিযোগে ৩ আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
গত ২ আগস্ট সোমবার ফরিদপুর শহরে রেল স্টেশন সংলগ্ন স্থায়ী বাসিন্দা অভিযুক্ত ২ নং আসামী পর্বত, ৩ নং আসামী সাগর, ৪ নং আসামী প্লাবন কে আটক করে রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের একটি দল। এ ছাড়াও ঐ মামলায় আরো অভিযুক্ত ১ নং আসামী সৈয়দ আব্দুল হাকিম শান্ত, ৫ নং আসামী রাজা, ৬ নং আসামী সাদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন কে আটক করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য বিভিন্ন ইনপোর্টারগণ ভারতীয় পাথর ও গম আমদানি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে বন্দর হয়ে ট্রেন যোগে ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের ইয়ার্ডে এনে আনলোড করে। আনলোডের কার্যক্রম পরিচালোনা করার জন্য লিভার সর্দার নিয়োগ না থাকায় রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর রেল মাষ্টারকে দায়িত্ব দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯-৬-২০২১ ইং তারিখ হইতে লিভার মো: বিল্লাল এর মাধ্যমে আমদানিকৃত পাথর ও গম ট্রেন থেকে আনলোড করিয়া আসিতেছিল। এমত অবস্থায় ১ নং আসামী সৈয়দ আব্দুল হাকিম শান্তর নেতৃত্বে অপর আসামীগণ গত ইং ৩০-৬-২০২১ তারিখ রাতে দা, ছুড়ি, চায়নিজ কুড়াল, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রেল মাষ্টারকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে এবং বলে আগামীকাল ইয়ার্ড লিভার সর্দার এর লাইসেন্স না করিয়া দিলে খুন করিয়া ফেলিবে বলে হুমকি প্রর্দশন করে। উল্লেখিত বিষয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি করার পর হইতে আসামীগণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে রেল মাষ্টার এর নিকট চাঁদা দাবি করে আসিতেছে।
গত ১৩-৭-২০২১ ইং তারিখে রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামীগণ রেল মাষ্টারকে হুমকি দেয় যে, ১৪-৭-২০২১ ইং তারিখে আনলোড করিতে দিবে না এবং লিবার সর্দার বিল্লালকেও আনলোড না করার জন্য ভয়ভিতি প্রদর্শন করে। যাহার ফলে ১৪-৭-২০২১ ইং তারিখে ভয়ে লিভার সর্দার না আসায় আনলোড কাজ সম্পুর্ন বন্ধ থাকে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করিলে ১৫-৭-২০২১ তারিখে আনলোড এর কাজ করার জন্য সহযোগিতা করিবে মর্মে আশ্বাসে লিভার সর্দার বিল্লাল এর মাধ্যমে গত ১৫-৭-২০২১ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় ট্রেন থেকে আনলোড কাজ শুরু করা হয়। তখন রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশ আনলোড পয়েন্টে অবস্থান করিতেছিল। অনুমান ৮ ঘটিকার সময় রেল মাষ্টার ও গেইটম্যান হাকিম মুন্সিসহ ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের অফিস কক্ষের সামনে রেল মাষ্টার দাড়িয়ে ছিল। এমন সময় ১ নং আসামীর নেতৃত্বে অপর আসামীগণ বেআইনি দলবদ্ধে তাদের হাতে থাকা ছুরি, রামদা, ইত্যাদী নিয়া ১ নং আসামী, স্টেশন মাষ্টার এর নিকট ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে না পারলে স্টেশন মাষ্টারকে লাইসেন্স তৈরি করে দিতে বলে এবং আক্রমন করে। তখন গেইটম্যান হামিদ মুন্সি আসামীদের বাধা দিলে ২নং ও ৩ নং আসামী হামিদ মুন্সিকে কিল, ঘুষি মারিতে থাকে। বিষয়টি পুলিশকে জানাইলে আনলোড পয়েন্টে থাকা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে উল্লেখিত আসামীরা জীবন নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ট্রেন থেকে আনলোডকৃত গম ভর্তি ট্রাক যার নং- ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৫২৩ এর সামনের গ্লাস ভাংচুর করিয়া প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে ফরিদপুর রেল মাষ্টার কারী মো: তাকদীর হোসেন বাদী হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের নিকট একটি মামলা দায়ের করে, যার নং ১/১০। বর্তমানে ঐ মামলায় ৩জন আটকসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে রেলওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।