টোকিও অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিক্স বিভাগে সোনার পদক জিতেছেন ইসরাইলের প্রতিযোগী ওর্টেম ডোলগোপ্যাট।
তিনি পদক নিতে মঞ্চে উঠতেই বেজে ওঠে তাদের জাতীয় সংগীত ‘হাতিকভা’। যা শুনে চোখ চমকে গেছেন ভারতীয়রা। এ সুর তো খুব চেনা তাদের।
এক মুহূর্ত পরেই অনেক ভারতীয়র হৃদয়ে বেজে ওঠে ১৯৯৬ সালে অজয় দেবগন অভিনীত ‘দিলজ্বালে’ সিনেমার ‘মেরা মুলক মেরা দেশ’ গানটি। এ কি, এতো হুবহু সেই সুর। আর সব রেখে ইসরাইলিরা তাদের জাতীয় সংগীতের বদলে হিন্দি গানের সুর বাজাবে কেন?
পরক্ষণেই সম্বিত ফিরে পায় ভারতীয়রা। ইসরাইলের জাতীয় সংগীতের সুর ‘চুরি’ করে বানানো হয়েছে হিন্দি গানটি। ২৫ বছর আগে সেই গানটি সুর করেন ভারতীয় সংগীত পরিচালক আনু মালিক। এক কথায় ইসরাইলের জাতীয় সংগীতের সুর ‘চুরি’ করেছেন আনু মালিক!
বিষয়টি নেটদুনিয়ায় ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। অনেকের মতে, একটি জাতির জাতীয় সংগীতের সুর চুরি করে ভারতীয়দের মাথা হেট করেছেন আনু মালিক।
আনু মালিককে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে কেউ কেউ আবার বলছেন, এ সুরকারের বিরুদ্ধে সুর চুরির অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই বলে একটি জাতির জাতীয় সংগীতের সুর চুরি করেছেন কোন আক্কেলে।
অনেকে ট্রলের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এক দেশের জাতীয় সংগীত চুরি করে অন্য দেশের সিনেমার জাতীয়তাবাদী গানে সেই সুর ব্যবহার করেছেন আনু। এমন চুরির জন্য তাকেই সোনার পদক দেওয়া উচিত!’
উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার সুর চুরির অভিযোগ উঠেছে আনু মালিকের বিরুদ্ধে। তার ‘দিল মেরা চুরায়া কিঁউ’,‘নিন্দ চুরায়ি মেরি কিসনে ও সানাম’,‘কাহো না কাহো’ এর মতো বলিউডের হিট গানগুলো বিদেশি সুরের হুবহু নকল করা। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অন্যতম ব্যান্ড দল মাইলসের কালজয়ী ‘ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম তুমি’ গানটিও চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছিলেন আনু মালিক। অবশ্য চুরির বিষয়টি কখনো স্বীকার করেননি আন্নু। তার ভাষ্যে, বিদেশি গানের সুর থেকে ‘প্রেরণা’ নিয়ে তিনি গানগুলো করেছেন।