চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়নে আলামিন নামে এক যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হয়েছেন চরফ্যাশন থানায় কর্মরত এসআই সিদ্দিকুর রহমান। সংবাদ পেয়ে চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যসহ অপরদের উদ্ধার করেন।
শনিবার বিকালে চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের নতুন স্লুলিজ এলাকায় মৎস্যঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
যুবক আলামিন জানান, নতুন স্লুলিজ মৎস্য ঘাটে শনিবার বিকালে তিনি তার বাবার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইমা ফিসে যান। ওই সময় চরফ্যাশন থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আড়ত থেকে তাকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে থানায় আনার চেষ্টা করেন। তিনি তাকে আটকের কারণ জানতে চাইলে তার সঙ্গে মাদক আছে বলে জানান এসআই সিদ্দিকুর রহমান।
এ সময় তিনি কৌশলে তার প্যান্টের পকেটে মাদক দেয়ার চেষ্টা করেন। মাদক দেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার ব্যবহৃত ৬৪ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান।
আল আমিনের চাচা বাবুল মিয়া জানান, তার বাবার আড়তে হঠাৎ পুলিশ হানা দিয়ে সঙ্গে মাদক আছে বলে আলামিনকে আটক করেন। কিন্তু স্থানীয়দের সামনে তল্লাশি করে সঙ্গে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই সময় চরফ্যাশন থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরে চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান এবং তার পরিবার দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
এসআই সিদ্দিকুর রহমান মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি জানান, ওই যুবকের কাছে মাদক আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করলে স্থানীয়রা তাকে ছিনিয়ে নেয়। এজন্য তল্লাশি করতে পারিনি। বিক্ষুব্ধ জনতা ঘিরে ধরলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরা চলে আসি।
চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, ওই যুবকের কাছে মাদক আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযানে যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ফেললে ওই যুবক আলামিন তার সঙ্গে থাকা মাদক ফেলে দেয়। এ জন্যই তার কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।