৪ বছর আগে একটি দেশটিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাহরাইন সরকার বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়াই বন্ধ করে দেয়। যা এখনো অব্যাহত আছে।
এ অবস্থায় যেসব বাংলাদেশী শ্রমিক দেশে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদই শেষের পথে। উপায় না পেয়ে দেশটিতে ফিরে যেতে তারা বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এরপরই রাষ্ট্রদূত কর্মীদের ফেরাতে ঢাকা-বাহরাইন রুটে ফ্লাইট চালু করার জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে গ্রিন সিগনাল দেয়া হয়নি। কারণ দেশটিতে হঠাৎ করেই করোনার প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। পাওয়া গেছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এর মধ্যে গত মে মাসে ৩০ জন বাংলাদেশী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার বাহরাইনের হামাদ টাউন এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় সাংবাদিক নোমান সিদ্দিকী বাহরাইনের সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে গিয়ে বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
যার কারণে বাহরাইন সরকার দুই দফায় আবারো ২৫ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ জনেরও বেশি বাংলাদেশী মারা গেছেন। তার মধ্যে গত মে মাসেই মারা গেছেন ৩০ জন।