বাণিজ্য ডেস্কঃ কর সুবিধার পাশাপাশি বিলাসবহুল জীবনযাপনের সুবিধা থাকায় বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি দীর্ঘসময় ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিনিয়োগ করে আসছেন। এ খাতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে চায় উপসাগরীয় অর্থনীতিটি। খবর খালিজ টাইমস।
চলতি মাসে শিল্পোন্নত সাত দেশ করপোরেট কর প্রদানে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। মূলত টেক জায়ান্টসহ যেসব বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে কর ফাঁকি দিয়ে আসছিল, তাদেরকে করের আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে বাণিজ্যে আগ্রহী দেশগুলোকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে।
তবে কর প্রদানের এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়িত হতে আরো লম্বা সময়ের প্রয়োজন। তবে অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগল ও ফেসবুকের মতো বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বড় অংকের কর আদায় করাই মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের তথ্যানুযায়ী, মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ ১০টি করস্বর্গের দেশে যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইউএইর রাজধানী আবুধাবি ও দুবাই শহরে তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। অবশ্য করপোরেট করের বিষয়ে শিল্পোন্নত সাত দেশ যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সে বিষয়ে ইউএইর উচ্চ পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
চলতি সপ্তাহে ইউএইতে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মযজ্ঞের পরিমাণ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। করোনা-পরবর্তী সময়ে ব্যবসায় খরচ কমানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।