করোনার চেয়ে নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনে করোনার বিস্তার ঘটায় এমন যুক্তিতে আমি বিশ্বাস করি না। করোনা বিস্তারের ১০০টি কারণের মধ্যে নির্বাচন একটি কারণ হতে পারে মাত্র। শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘পৌর এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত’ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হুদা বলেন, পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দিল্লিতে। সেখানে নির্বাচন হয়নি। আমেরিকায়ও নির্বাচনের পরে করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। কোভিড পরিস্থিতি শুরুর পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ওই দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়েনি।
তিনি বলেন, বরিশালসহ যেসব এলাকায় করোনা সংক্রামন কম সে রকমের ২০৮টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন আগামী ২১ জুন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে করোনা সংক্রামন বেশী হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে খুলনা অঞ্চলের ১৬৩টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। করোনার কারণে এর আগে একদফা নির্বাচন পেছানো হলেও সংক্রামন তুলনামূলক কম হওয়ায় বরিশাল এবং মাদারীপুর অঞ্চলে বৃষ্টি মৌসুমেও নির্বাচন চালিয়ে যেতে হবে।
আগামী ২১ জুন বরিশাল জেলার ৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬০ জন, সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী ৫১৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী ১ হাজার ৬শ’ ২৩ জন। বরিশালের ১০ উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নদী বেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোস্টগার্ড মোতায়েনের নির্দেশনা দেন সিইসি। জেলার ৫০ ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ৪৬৯টি এবং ভোটার ৯ লাখ ১৮ হাজার ৭শ’ ৬৩জন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, নির্বাচন কমিশন সচিবালায়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এবং বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।