May 4, 2024, 7:02 am
সর্বশেষ:
মৌলভীবাজার আদালত প্রাঙ্গণে “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে বাঁশখালী লবন শ্রমিক কল্যান ইউনিয়নের আলোচনা সভা ও র‌্যালী আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে বাঁশখালীতে রিক্সা শ্রমিকদের আলোচনা সভা ও র‌্যালী রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় সোনারগাঁয়ে বেপরোয়া মহিউদ্দিন পেপার মিলস, বিলিং ঘর ধসে পড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি আলফাডাঙ্গায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় বান্দরবানের ট্রাস্ট ব্যাংকের পাশে আগুন,পুড়ে ছাই দোকান ও বসতঘর           শ্রীমঙ্গল মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ বাজারে ধানের দাম কম, শ্রমিকের মজুরি বেশি সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তরুণ প্রজন্ম অনলাইন জুয়ায় আসক্ত

সাতক্ষীরায় কড়া লকডাউনেও কিস্তির টাকা আদায় করলো

  • Last update: Tuesday, June 8, 2021

আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ৭ দিনের কড়া লকডাউনের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে চারদিন কিন্তু থেমেনেই এনজিও গুলোর কিস্তির টাকা আদাই।করোনার প্রকোপ জেলাতে বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলা প্রশাসন প্রজ্ঞাপন জারি করে সাধারণ মানুষদের বিনা কারণে ঘরের বাইরে যেতে বিধি নিষেধ জারি করছেন।
এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা থাকবে সকাল ৬ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সারাক্ষণ খোলা থাকবে ওষুধের দোকান।

তবে এই ভয়াবহ করনাকালীন সময় সাতক্ষীরায় থেমে নেয় এনজিও কর্মীদের টাকা আদায়। বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা টাকা আদায় করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে গ্রাহকদের। কিন্তু সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের কিস্তির টাকার জন্য কঠোর তাগাদা দিচ্ছেনএনজিও কর্মীরা।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলো কিস্তির ঋণ গ্রহিতাদের টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছে।সাতক্ষীরা সদরের রহিম হোসেন নামে একজন চায়ের দোকানদার জানান, দু’টি এনজিও’র কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পাঁচ মাস তিনি নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিতে সাতক্ষীরায় ৭ দিনের লকডাউনে তিনি দোকান খুলতে না পারায় অর্থ সংকটে পড়েছেন।

রহিম হোসেন বলেন এখন তিন বেলা খেতে পাচ্ছিনা এনজিওদের ঝণের টাকা দিবো কোথা থেকে। কিন্তু অর্থসংকট এবং মহামারি কিছুই বুঝতে নারাজ এনজিও কর্মীরা।

শাহিনা পারভীন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন,”আমরা বলেছি যে, ৭ দিন লকডাউন দিছে আপনারা টাকার চাপ দেন ক্যান? আমি বলেছি, লকডাউনের জন্য দোকান খুলতে পারছিনা টাকা দিবো কোথা থেকে। এরা শোনেই না। আমি তারপর বলছি যে, আপনাদের কিস্তির জন্যে গলায় দড়ি দিবার জন্য বলছেন আমাকে? তখন বলছে না গলায় দড়ি দেবেন ক্যান, আপনি চেষ্টা করেন। তো চেষ্টা করলে টাকা পাবো কোথায়।

এই মুহুর্তে কাজ করলেই মানুষ টাকা পাচ্ছে না।”এখন মনে হচ্ছে, টাকার জন্য পালিয়ে বাঁচতে পারলে ভাল হয়, তাওতো পরবো না। পালিয়ে বাঁচারওতো সুযোগ নাই আমাদের।

এবিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, এনজিও প্রতিষ্ঠানের টাকা আদায়ের বিষয়ে কোন বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC