কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার ডিজিটাল। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার নতুন গাইড ‘ভাল থাকুন’।
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও বেশ কিছু দিন খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি এই সময়। খুব বেশি তেল-ঝাল-মশলা ছাড়া রান্না খাওয়াই ভাল। পাশাপাশি প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য রোজকার ডায়েট ঠিক করার সময় মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। সেগুলো জেনে নিন।
প্রোটিন: এই সময় প্রোটিন ঠিক মতো শরীরে যাচ্ছে কিনা, তা খেয়াল রাখতেই হবে। মাছ বা চিকেন খেতে পারেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। পনীর-ছানা-ডাল বেশি করে খান নিরামিষাসীরা। সম্বর ডাল বা রসমও খেতে পারেন দক্ষিণ ভারতীয়দের মতো। দই ভাত বা দই চিড়ে খুব ভাল খাবার। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবে আবার হজমশক্তিও বাড়াবে। রেড মিট, মাছের মাথা বা মেটে এই সময় এড়িয়ে চলুন। প্রসেস্ড ফুডও একদম চলবে না। ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন সপ্তাহে ৪-৫ দিন। সহজ উপায় পুষ্টিকর খাবার খেতে চাইলে নানা রকম ডাল দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করতে পারেন।
সব্জি-ফল: মরসুমী ফল-সব্জি ডায়েটে রাখুন। শুধু মাল্টিভিটামিন ওষুধ না খেয়ে টাটকা ফল-সব্জিও খাওয়া প্রয়োজন। খিদে পেলে স্যালাড খান। তবে কাঁচা সব্জিতে হজমের সমস্যা হলে সেদ্ধ করে খেতে হবে। ফলের রস খেলে টাটকা ফলের রস বানাবেন। প্যাকেট বা ক্যানের রস খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভাল। বেশি করে সব্জি খাওয়ার জন্য পালং শাকের স্যুপ, তেতো ডাল, আম-ডাল, কুমড়োর স্যুপের মতো খাবার বানাতে পারেন।
গুড ফ্যাট: কম তেলে রান্না খাওয়া মানে এই না যে রান্নায় তেল থাকবেই না। রিফাইন্ড অয়েল ব্যবহার না করে যে কোনও খাঁটি তেল ব্যবহার করুন। সর্ষের তেল, নারকেল তেল, অ্যাভোক্যাডো অয়েল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো প্রত্যেকটাই স্বাস্থ্যকর। তবে পরিমাণে কম। অল্প ঘিও চলতে পারে। খুব সকালে আমন্ড বা বিকেলে পেস্তা, কাঠবাদাম বা ওয়ালনাট খেতে পারেন। এত শরীরে ‘গুড ফ্যাট’ যাবে।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার: ভেষ়জ চা, হলুদ দিয়ে চা, আদা-লেবু-মধুর জল, দারচিনি ভেজানো জলের মতো কিছু খাবার রোজ খাবেন। যাতে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর শরীরের স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। তাই এই সময় কিছু বিশেষ খাবার ডায়েটে রাখা জরুরি।
হাইড্রেশন: শরীর যাতে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেটেড না হয়ে যায়, সে দিকে নজর দিতে হবে। সাধারণ জল বেশি না খেতে পারলে ডিটক্স ওয়াটার, ডাবের জল, লস্যি, ঘোল, বেলের শরবতের মতো পানীয় সারাদিন ধরে খান।