ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামে আলি হক এর নিকট থেকে জোর পুর্বক সরকারি জমি দখল এবং ব্লাংক স্ট্যাম্পে সহি করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লিখে নিয়েছে একই এলাকার প্রতিপক্ষ নাহিদুল ইসলাম বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গেলে আলি হক অভিযোগ করে জানান, এলাকার সবাই তার নিজস্ব যায়গা সংলগ্ন পানি ওয়াবদার যায়গা ব্যাবহার করে থাকে। দু:খজনক হলেও বিষয়টি সত্য যে আমার বাড়ির সামনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমার পাশের বাড়ি নাহিদুল ইসলাম ওরফে মোশারফ হোসেন এলকায় নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে আমার বাড়ির সামনে সরকারি যায়গাটি জোর পুর্বক দখল করার জন্য আসে। পরে গত ৩০ শে মার্চ শহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন এসে আমার গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগসহ আমাদের এলোপাতারি ভাবে মারধোর করে। এ ছাড়াও প্রতিপক্ষ নাহিদুল উক্ত জমি দখল করার উদ্দেশ্যে একটি গরুর রাখার গোয়াল ঘর তৈরি করে, যাহা আমার থাকার ঘরের সাথে মিশিয়ে। ঐ ঘরের সকল বর্জ্য গুলো আমার ঘরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঐ দুগর্ন্ধে আমরা এখন ঘরে থাকতে পারছিনা। বিষয়টি নিয়ে ৫ এপ্রিল সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে এলাকায় সমাধানের লক্ষে বসা হলে এলাকার প্রভাব খাটিয়ে মেম্বার নুরু মোল্লার মাধ্যমে জোর পুর্বক সালিশি সমাধানের কথা বলে ৩০০ টাকার ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে সহি করে নেয়। পরে আমরা জানতে পারি ঐ যায়গার পরিবর্তে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উৎকচ দিতে হবে এই মর্মে উক্ত স্যাম্পে লেখা থাকে।
ঐ টাকা মেম্বার এবং প্রতিপক্ষ নাহিদুল ইসলাম চাইলে আমি দিতে অস্বীকার করায় আমি ও আমার পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন অভিযুক্ত নাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকার অপরিচিত মানুষ নিয়ে এসে আলির বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করে এবং জমি দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের বিভিন্ন ভয়ভিতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেন স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ওরফে শাহিদ, আলেক বিশ্বাস, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, তানিয়া সুলতানা, আব্দুস ছালাম, লিমা, আব্দুল আল মামুনসহ এলাকার অর্ধশতাধীক নারী পুরুষ। এ বিষয়ে এলাকাবাসি জানান সরকারি যায়গা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কেউ জোর দখল করতে পারে না। এলাকার নুরু মেম্বারের মাধ্যমে ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে সহি নেওয়া হয়েছে। পানি ওয়াবদার জমি সরকারি সম্পত্তি। এলাকার সাধারন মানুষ তাদের নিজস্ব যায়গা সংলগ্ন সরকারি জমি ব্যবহার করে আসছে। সেই হিসাবে নালিশি যায়গা আলি হক এর অগ্রাধিকার। এ ছাড়াও নাহিদুল ইসলাম কিভাবে সরকারি জমি দখল করে, এবং তার খুটির জোড় কোথায় এ সব প্রশ্ন এলাকার সাধারন জনগনের মনে ঘোরাফেরা করছে। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আলী হকসহ এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ নাহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অপর অভিযুক্ত নুরু মেম্বার এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ব্ল্যাংক স্ট্য্যম্পে সহি নেওয়ার ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান উক্ত যায়গাটি কিছুটা সরকারি আর কিছুটা ব্যাক্তিগত বলে স্বাক্ষাতে কথা হবে মর্মে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যান।