সউদী আরবে বৃহৎ জিজান শহরে লকডাউনের দীর্ঘ ৮ মাস পরে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের কনস্যুলেট সেবা দেয়া শুরু হয়েছে। এটি সউদী আরবের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের জিজান অঞ্চলের প্রধান শহর। এ শহরটি কৃষি খামারের জন্য বিখ্যাত। অসংখ্য বাংলাদেশিরা এখানে আম, ডুমুর, এবং পেঁপের মত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফলের চাষের কাজে নিয়োজিত। এ শহরের গড়ে উঠছে সউদী সালতানাতের বৃহৎ বিনিয়োগে বিশেষ অর্থ ও বাণিজ্যকেন্দ্র।
প্রায় ১ লক্ষ বাংলাদেশি এই জিজান শহরে কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। তারা মহিলা গৃহকর্মী, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার, ড্রাইভারসহ নানা পেশায় নিয়োজিত। সউদীর জিজান থেকে আজ শুক্রবার কনস্যুলেটের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে সউদী সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৮ মাস পর জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল নাজমুল হকের সরাসরি তত্ত্বাবধান কনস্যুলার সেবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেদ্দা দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব মো. আরিফুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রবাসীদের কনস্যুলেট সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
পাসপোর্ট রি ইস্যু, প্রবাসী মেম্বারশীপ কার্ড ইস্যু, ডেলিভারী, স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক তাদের বিষয়ে প্রসেস করা, আউটপাস ইস্যুসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানামুখী আইনী সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কনসাল জেনারেল নাজমুল হক নিজেই আগত প্রবাসীদের কথা সরাসরি শুনছেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধান করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন। প্রবাসীদের নানামুখী সমস্যা যেমন কফিলের হুরুপ প্রদান, বেতন ভাতাদি সঠিকভাবে না পাওয়াসহ অনেক সমস্যা বিদ্যমান। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে সিজি নাজমুল হক।