আটকে পড়া বাংলাদেশীদের সৌদি ফেরাতে সোমবার থেকে ফের ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন কাল সোমবার থেকে বিমান সীমিত আকারে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম দফায় শুধু ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালানো হবে। পরবর্তীতে সৌদির ৩ স্টেশন জেদ্দা-রিয়াদ-দাম্মামেও সীমিত আকারে ফ্লাইট যাবে।
২৪ মে দুবাইয়ের উদ্দেশেও বিমানের একটি ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। তবে এসব স্টেশনগুলোতে বিমানের ১৬২ সিটের (বোয়িং-৭৩৭) ছোট এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট চালানো হবে। সেই হিসাবে দুবাইয়েও সপ্তাহে দুটি এবং সৌদি আরবের ৩ স্টেশনে সপ্তাহে ২টি করে মোট ৬টি ফ্লাইট চলাচল করবে।
যাত্রী পাওয়া গেলে তখন আরো ফ্লাইট বাড়ানো হবে।
এদিকে প্রবাসীদের সৌদিআবর ফেরার ভোগান্তি দুর করতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। সৌদি আবরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটওয়ারী এ বিষয়ে জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিমান সুত্রে জানাগেছে। সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস সুত্রে জানা গেছে- হোটেল বুকিংয়ের ভাড়া কমানো নতুন করে আরও হোটেল অন্তভ্ক্তু করা ও কোয়রান্টাই জরিমানা কমানোসহ বেশ কিছু শর্ত শিথিল করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শনিবারও আটকে পড়া সোৗদিগামী যাত্রীদেরকে হোটেল বুিকং নিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিস হোটেল সোনারগাওয়ে শত শত যাত্রীকে বুকিংয়ের টাকা জমা দিতে গিয়ে নানা ধরণের ভোগান্তিরর শিকার হতে দেখা গেছে। তবে কাল থেকে যাত্রীদের এ দুর্দশার নিরসন হবে বলে জানিয়েছে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি সুত্র। উলেখ্য সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশনের দেয়া কঠোর শর্তারোপের কারণেই রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের ৪ দিনের শিডিউল ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। একই কারণে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীদেরকেও ভোগান্তির শিকার হতে হচেছ। নতুন সিদ্বান্ত ঘোষণার তৃতীয় দিন শনিবারও দেখা গেছে যাত্রীদের হৈচৈ ও ক্ষোভ বিক্ষোভ।
এয়ারলাইন্সটির সোনারগাও অফিসে দেখা গেছে যাত্রীদেরকে দিনভর টিকেট হালনাগাদ ও হোটেল বুকিং দিতে। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, সকাল থেকে লাইন ধরেও দুপুর একটায় হোটেল বুকিং করতে পারেননি অনেকে।
হঠাৎ নতুন ধরণের শর্তের মাশূল দিতে হচেছ তাদেরকে। সৌদি আরবের নতুন শর্ত অনুযায়ী যাত্রীদের সৌদি আরব যাওয়ার পরই নিজ খরচে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন বাবদ হোটেলে থাকা-খাওয়া এবং দুই দফা করোনা পরীক্ষা করানোর খরচ ফ্লাইটের টিকিটের টাকা থেকেই সৌদি কর্তৃপক্ষ কেটে নেয়ার কথা জানিয়েছে। সে কারণেই নতুন করে বাড়তি ব্যয়ের মুখে পড়তে হচেছ।