ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বসেছিল এফএ কাপের ফাইনাল। করোনা পরিস্থিতিতেও লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী এই মাঠে উপস্থিত ছিল দর্শক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়ামস। চেলসির বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার শিরোপা ঘরে তুলেছে লেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন দলটির সদস্য ছিলেন হামজা চৌধুরী। শিরোপা উদযাপনের সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডার ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে তুলে চলে এসেছেন আলোচনায়।
বিশ্ব ফুটবলের মুসলিম তারকারা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যাচারের শিকার ফিলিস্তিনে পক্ষ নিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগে খেলা পল পগবা, মোহাম্মদ সালাহ, রিয়াদ মাহরেজ থেকে আচরাফ হাকিমিরা নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করে। যদিও ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায়ে হামজার হাত ধরেই চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতে দেখা গেল।
রোববার রাতে জায়ান্ট চেলসির বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায় লেস্টার। হামজা চৌধুরীর সঙ্গে দলটির হয়ে খেলা ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ওয়েসলে ফোফানাও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে তুলে নেন। ডেইলি মেইল, দ্য মিরর, ফার্স্টপোস্ট, আইরিশ টাইমস থেকে আল জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটরের মতো গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এমনকি চোখ এড়ায়নি দ্য টাইমস অব ইসরায়েলেরও।
এই ঘটনার পর ইংল্যান্ডে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলট দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে হামজাদের আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি বলেন, ‘এফ এ কাপের শিরোপা জয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে তুলে নেন হামজা চৌধুরী ও ওয়েসলে ফোফানাও। ফিলিস্তিনি সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা।’ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পতাকা ফুটবলের অন্যতম শীর্ষ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরে সংগ্রামী জনতার পক্ষ নেয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’
শুভেচ্ছা জানিয়ে জমলট হামজাদ বলেন, ‘শিরোপা জেতায় আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আশাকরি একদিন লেস্টার সিটি ক্লাব স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেমে খেলবে।’