কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জানাজা ছাড়াই নেচে-গেয়ে আঁখি (১৭) নামের এক কিশোরের মরদেহ দাফনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৬ মে) রাতে উপজেলার পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নেচে-গেয়ে মরদেহ দাফনের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিল ওই গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে আঁখি। বাবার সঙ্গে আঁখি রাজধানীর ফুটপাতে হকারি করত। সম্প্রতি সে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তারা। রোববার বিকেলে বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর মহাসিন আলী তার ছেলের মরদেহ একই এলাকার ফকির শামীম রেজার হাতে তুলে দেন। পরে তার লোকজন নেচে-গেয়ে আঁখির মরদেহ দাফন করেন।
তারা আরও জানান, স্থানীয় মুসল্লিরা এর বিরোধিতা করলেও শামীম রেজা ফকির ও তার অনুসারীরা কর্ণপাত করেনি। পরে দাফনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে সেটি ভাইরাল হয়। অনেকেই শামীম রেজা ফকিরকে ভণ্ড আখ্যায়িত করে তার শাস্তির দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শামীম রেজা ফকির গোলাম-এ-বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরীর অনুসারী। নিজ বাড়িতে তার একটি আস্তানাও রয়েছে। ভক্ত অনুসারীদের নিয়ে তিনি সেখানেই সময় কাটান। গোলাম-এ-বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী অনুসারীদের কেউ মারা গেলে জানাজা ছাড়াই নেচে-গেয়ে মরদেহ দাফন করা হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।