সৌদি আরবে প্রবেশ এখনো নিষিদ্ধ হয়নি এমন দেশের মানুষদের জন্য দেশটিতে প্রবেশের পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নির্দেশ আগামী ২০ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
সোমবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদিতে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনের আওতায় বাংলাদেশও থাকবে। তবে কয়েক ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
তারা হলেন-
১। সৌদি নাগরিকরা, তাদের বিদেশি স্বামী/ স্ত্রী-পুত্র, কন্যা, এবং গৃহকর্মীরা।
২। ননসৌদি ইমিউন (তাওয়াক্কালনা অ্যাপে যার হেলথ পাসপোর্টে ইমিউন শো করে) মুকীমের নন ইমিউন গৃহকর্মীরা।
৩। যেকোন ইমিউন ব্যক্তি (তাওয়াক্কালনা অ্যাপে যার হেলথ পাসপোর্টে ইমিউন শো করে)।
৪। ডিপ্লোম্যাটরা, ডিপ্লোমেটিক ভিসাধারীরা এবং তাদের পরিবারবর্গ। রাষ্ট্রীয় অতিথিরা।
৫। বিমান ও জাহাজের ক্রুগণ।
৬। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনে নিযুক্ত ট্রাক চালকগণ ও তাদের সহকারীরা।
৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত অনুমোদিত কোন ব্যক্তি। এছাড়া কর্তৃপক্ষ যাদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বিবেচনা করেন।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে এই নির্দেশনা সকল এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সৌদি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ও নির্ধারিত হোটেলসমূহের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে এয়ারলাইন্সগুলো টিকেটের মূল্যের সাথে হোটেলে অবস্থানের চার্জও নিয়ে নিতে হবে। এছাড়া বিমানে উঠার পূর্বে প্রত্যেক যাত্রীর কোভিড নেগেটিভ সনদ ( মিনিমাম যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে সম্পাদিত) নিশ্চিত করে নিবে। সৌদিতে আসার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ হবে সাত দিন, এবং অবস্থানের ৬ষ্ঠ দিন আলামত সংগ্রহের পর ৭ম দিন রেজাল্ট নেগেটিভ হলেই মিলবে মুক্তি।
এয়ারলাইন্সগুলো ননসৌদি ইমিউন (তাওয়াক্কালনা অ্যাপে যার হেলথ পাসপোর্টে ইমিউন শো করে) ব্যক্তিদের টিকার পরিপূর্ণ ডোজ গ্রহণের সনদ যাচাই করে তাদের টিকেট প্রদানে বাধ্য থাকবে।
তবে সৌদি পর্যটন মন্ত্রণালয় এই জাতীয় হোটেলের কোন তালিকা প্রকাশ করেনি। এছাড়া সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এয়ারলাইন্সগুলোকে তালিকা প্রেরণ করতে পারে। এই সিদ্ধান্ত নিয়মিত পর্যবেক্ষণপূর্বক পরিবর্তন সাপেক্ষ। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত প্রকাশ হবে বলেও জানানো হয়।