আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাঁকাইল গ্রামের চাচা দরবেশ (৬০)এবং ভাতিজা মিকাইল মিয়া(২৪)।
৯ মে (রবিবার) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ঃ২০ টার সময় উপজেলার বাকাঁইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।হামলার ঘটনায় মোঃবিলায়েত হোসেন বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামীরা পূর্বে হতে আমাদের সহিত জমিজমা নিয়ে নিরোধ করে আসিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে আসামীরা ঐ দিন ঠিক সন্ধ্যার সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে ইফতারের প্রস্তুতি নিতেছিলাম।ঐ সময় আসামীরা রামদা,ছোরা,চাপাতি নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। আসামী মোঃ জুনায়েদ হোসেন লিটন এর হুকুমে অপর আসামীরা আমাকে খুন করতে আসিলে আমার ছেলে মিকাইল আমাকে রক্ষা করিতে গেলে,আসামী রব্বানী মিয়া রামদা দিয়ে আমার ছেলেকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমার বড় ভাই দরবেশ মিয়া(৬০) ঢেকাইতে গেলে আসামী হাসিব মিয়া তার হাতে থাকা চাপাতী দিয়ে মাথায় আঘাত করিতে গেলে, ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে হাতের গিরার নিচে লাগিলে হাতকেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। মিকাইলের স্ত্রী লাবনী বেগম(২০)আগাইয়া গেলে আসামী জুনায়েত হোসেন লিটন রড দিয়া পিটাইতে থাকে ঐ সময় ওয়াহিদুজ্জামান লাবনীর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্নের চেন নিয়ে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমি আমার ছেলে এবং ভাইকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
এ ব্যাপারে বিবাদী জুনায়েদ হোসেন লিটনকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, মোঃ বিলায়েত হোসেনের করা দরখাস্তে যাহা উল্লেখ করেন তা সম্পর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।