নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ইয়াবাসহ মেহেদী হাসান (২৮) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে উপজেলার নানাইচ পাগল দেওয়ান সড়ক থেকে আটক করা হয়।
তিনি উপজেলার ইসবপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে এবং উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান নানাইচ পাগল দেওয়ান মোড়ে মাদক বেচাকেনা করছিলেন। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩৮ পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে। মেহেদী হাসান চালকের আসনে ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মেহেদী হাসানের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
ধামইরহাট থানার ওসি আব্দুল মমিন বলেন, গোপন সংবাদে জানা যায়- মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী উপজেলার নানাইচ পাগল দেওয়ান সড়কে মাদক নিয়ে অপেক্ষা করছেন। এমন সংবাদে এসআই মাসুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় মেহেদী হাসানের ব্যবহৃত টিভিএস আরটিআর-১৬০ সিসি মোটরসাইকেলের সিটের নিচ থেকে ৩৮ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ তাকে আটক করা হয়। এ সময় কৌশলে অপর যুবক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়েছে। অপর আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ধামইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমাদের উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ইউনিয়ন কমিটি বেশ কয়েক বছর আগে গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে ওই ইউনিয়নের কমিটি গঠন স্থগিত হয়ে আছে। সাংগঠনিক পরিপন্থি বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত এক বছর আগেই তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। সাংগঠনিকভাবে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু ছাত্রলীগ নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত যে কারও বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।