হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম সৌদি আরব থেকে আগত একজন প্রবাসীর নিকট থেকে ২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। পাসপোর্ট অনুসারে যাত্রীর নাম বাহার মিয়া এবং বাড়ি খাগড়াছড়িতে।
৮ এপ্রিল আনুমানিক দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে সৌদি আরব থেকে আসেন বাহার মিয়া। গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম কালে তার সাথে থাকা ব্যাগেজে কোন স্বর্ণবার বা স্বর্ণালংকার আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি তা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে যাত্রীর সাথে থাকা ব্যাগেজ স্ক্যানিং করলে ব্যাগেজে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে প্রেশার কুকার ও চার্জার লাইট ভেঙ্গে ভেতর হতে প্রায় ২ কেজি গোল্ড উদ্ধার করা হয়।আটককৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। যাত্রীকে বিমান বন্দর থানায় সোপর্দ করা এবং ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রিয় প্রবাসী লোভে পড়ে চোরাচালান জড়াবেন না। অপরিচিত কারও কিছু সঙ্গে আনবেন না। পরিচিতদের আনলেও নিজের চোাখে দেখে, চেক করে নেবেন। আপনার লোভ, ভুল আপনাকে সারা জীবনের জন্য ধ্বংস করবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কতটুকু সোনার বার কিংবা অলংকার বৈধ ভাবে সঙ্গে আনতে পারবেন ?
সোনার বার ১ গ্রাম আনলেও শুল্ক-করাদি (প্রতি ১১.৬৭ গ্রাম এর জন্য ২০০০ টাকা) পরিশোধ করতে হবে। এভাবে ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণ বার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চোরাচালান বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে।
স্বর্ণালংকার ১০০ গ্রাম পর্যন্ত (এক প্রকারের অলংকার ১২ টির অধিক হবে না) শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে অতিরিক্ত প্রতি গ্রাম এর জন্য প্রায় ১,৫০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (detention memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণালংকার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চোরাচালান বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে।