মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাটে গিজগিজ করছে পশু আর মানুষ। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে ট্রাকে তুলছেন। অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই, কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনাবেচা চলছে। শনিবার (৮ মে) দুপুরে বাগআঁচড়া পশু হাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
বাগআঁচড়া বাজার কমিটি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখায়েত হোসেন বলেন, বাগআঁচড়া সাধারণ হাট এবং সাতমাইল পশুর হাটে ব্যাপক লোক সমাগম হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নাই। পশু হাট ও বাজার এলাকায় কেউ মাস্কও ব্যবহার করছে না। হাট কতৃপক্ষ জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছে না কেতা-বিক্রেতাদেরকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু হাটে লোক আসছে। তাদের কারণে এলাকা বাসী আতঙ্কে রয়েছে। বাগআঁচড়ায় ৫-৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তারা সকলে এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। ভারত থেকে চোরাই পথে গরুর বাছুর ও ভারতীয় লোক আসছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যত দ্রুত সম্ভব বাগআঁচড়া বাজার এলাকা ও পশুর হাটে থাকা মানুষ যেনো বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মানে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ আমার লক্ষ্যে করছি না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবা পড়বে বাগআঁচড়াতে। আমি শার্শা উপজেলার সকল প্রশাসনের কাছে অনুরোধ স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটে প্রায় সব ধরনের দোকান খুলে গেছে। মৌসুমি ফলের দোকান ও মুদিখানার দোকানে যথেষ্ট ভিড়। হাটের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকেই খোশগল্প করছেন। তাঁদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। আলু ও সবজির বাজার ঘিরে কেনাকাটা করছেন প্রচুর মানুষ। মাংসের বাজার, হাঁস-মুরগির বাজারে গিয়ে মনে হলো যেন কেনাকাটার উৎসব চলছে। গা ঘেঁষে হাঁস-মুরগি, মাংস কিনছেন অনেকে। সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতো।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি’র মুঠো ফোনে ফোন দিলে রিছিব করেননি।