এম আই সুমন,ইবি প্রতিনিধি: অধিকাংশ শিক্ষার্থী’র আর্থিক দুরাবস্থা ও ইন্টারনেট সংযোগের অপ্রতুলতাকে বিবেচনা করে অনলাইন ক্লাস স্থগিতের দাবী জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী।
আজ (শুক্রবার) ইবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সার্বিক দিক বিবেচনায় অনলাইন ক্লাস বন্ধ রাখতে আহব্বান জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছে সংগঠনটি।
যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার নেতৃবৃন্দ অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাবসমূহ তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে তারা জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের ধীর গতির জন্য অনলাইনে জরুরী কার্যক্রম সম্পাদন করা দুষ্কর হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাস চালু হলে মন্থর গতির ইন্টারনেটে সংশ্লিষ্ট কোর্সে অস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি হবে। আধো-আধো জ্ঞান নিয়েই সমাপ্ত হবে একেকটি কোর্স। ফলে দেশ পাবে অপরিপক্ক গ্রাজুয়েট।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হিসেবে পরিচিত পেয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেশনজট নিরসনের নামে অনলাইন ক্লাস পদ্ধতির যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মর্মাহত করেছে।’
অন্যদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আগামী ৬ জুন, ২০২০ পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবু শিক্ষার্থীমত উপেক্ষা করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ভাবিয়ে তুলেছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এমন খোঁড়া পদ্ধতির পাঠদান কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তাই অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় অনলাইন ক্লাস যাতে স্থগিত করা যায় সেব্যাপারে ইবি প্রশাসনের প্রতি আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।