আমিরাতে অবস্থানরত জনশক্তি ব্যবসায়ীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে আসা ভিজিট ভিসাধারীদের পুনরায় ডাটাবেজ তৈরিতে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আবুধাবিতে মাস দু-এক আগে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ পদ্ধতিটি তুলে নেয়। এরপর থেকেই চাকরির সন্ধানে দেশটিতে আসা অসংখ্য প্রবাসীর অবৈধ হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘ আট বছর পর ভ্রমণে আসা ব্যক্তিদের জন্য রেসিডেন্ট ভিসা উন্মুক্ত করায়, প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশিরা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু যারা কাজ পাচ্ছেন না তারা হয়ে পড়ছেন অবৈধ। বাংলাদেশিরা যেন অবৈধ হয়ে না পড়েন সে লক্ষ্যে কাজ দেয়া কোম্পানি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসে দেয়া হয়েছিল সুপারিশপত্র। পাশাপাশি তৈরি করা হয় ভিজিটধারীদের ডাটাবেজ। কিন্তু হঠাৎ সেই পদ্ধতিটি উঠিয়ে দেয়ায় হাজার হাজার ভিজিটধারী অবৈধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমিরাতে বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ী জানান, একটা সহনশীল নীতিমালা হওয়া উচিত। সেটা যেন প্রবাসী শ্রমিকদের অতিরিক্ত খরচ না পড়ে। এমন কোনো পদ্ধতি চালু হওয়া উচিত না প্রবাসী শ্রমিকরা যেন কষ্ট না পান।
আরেকজন বলেন, যারা স্পন্সরশিপ দেয় ওই লোকটা জবাবদিহির মধ্যে আসে, এখন যেভাবে লোকজন আসছে তারা জবাবদিহিতার মধ্যে নেই। দ্বিতীয় তো কথা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) অনুমতি নিয়ে যারা আসছেন তাদের কিন্তু কারও সমস্যা হচ্ছে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে হাজার হাজার ভিজিটধারী বাংলাদেশি কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা বেশি হলে পুনরায় বাংলাদেশি রেসিডেন্স ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। তাই প্রবাসীরা বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সুপারিশপত্র দেয়ার মাধ্যমে ভিজিটধারীদের সঠিক কাজের সন্ধান দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।