আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ইউএইঃ দেশে ১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে লকডাউন শুরু হলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৭ তারিখ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ৪ দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ সোমবার দেশে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করাটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা মনে করছেন বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে যা সহনশীলতার পরিপন্থী। একদিকে করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত বিমান ভাড়া এখন আবার বিশেষ ফ্লাইট। বিশেষ ফ্লাইটে টিকেটের দাম আকাশছোঁয়া।
মোহাম্মদ সাইফ ২৭ এপ্রিল শারজাহ থেকে সিলেট যাবেন। ইতোমধ্যে তিনি এয়ার এরাবিয়ার টিকেট কেটে রেখেছেন। তিনি বলেন, “গেল বছর লকডাউন থাকায় ছুটি নিয়েও দেশে যেতে পারেনি। দীর্ঘ ৫ মাস ঘরে বসে ছুটি কাটাতে হয়েছিল। এখন যেহেতু যাত্রীরা করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে যাচ্ছে সেহেতু ফ্লাইট বন্ধ করাটা বেমানান। ২৭ তারিখের ফ্লাইটে দেশে যেতে না পারলে আমার বেশ ক্ষতি হয়ে যাবে।”
একইভাবে চট্টগ্রামের আব্দুল কাদের ২৫ তারিখে দেশে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন ” ২৪ তারিখ থেকে আমার কাজ বন্ধ, বাসাও ছেড়ে দিয়েছি। এখন যদি দেশে যেতে না পারি তাহলে আমার অবস্থা কি হবে জানিনা। করোনা টেস্ট করে দেশে যেতে সমস্যা দেখছি না।”
এভাবে অসংখ্য আমিরাত প্রবাসী দেশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ফ্লাইট চালু না হলে তাদের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।