মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে টানা দু’দিন আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে।
তবে এ পথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে সচল থাকবে দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ এবং ১৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটিতে পর পর দু’দিন বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৬ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল হবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র জানান, প্রতিবছরের পহেলা বৈশাখে ভারতের ব্যবসায়ীরা বর্ষবরণ পালন করেন। এদিন ছুটি কাটাতে বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। বিষয়টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শর্ত মেনে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তবে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে সাধারণ আমদানি ও রফতানি হয় না। এ বন্ধের মধ্যেও বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, টানা দু’দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। বেনাপোল বন্দর থেকেও বাংলাদেশি পণ্য প্রায় ১৫০টির মতো ট্রাক যায় ভারতে। প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়।