কথিত ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ ও সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডে বিতর্কিত যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এগুলোকে তার ব্যক্তিগত বিষয় বলে আখ্যায়িত করেছেন সংগঠনটির আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। মামুনুল হকের অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুনগরী বলেন, এ বিষয়ে আজকের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিন দুপুর ১২টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাদের এ বৈঠক শুরু হয়, যা চলে বিকাল তিনটা পর্যন্ত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এতে হাতেগোনা হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে আগামী ২৯ মে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন ঘোষণা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানান বাবুনগরী। রমজানে মকতব হিফজ বিভাগগুলো খোলার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
বাবুনগরী বলেন, কোরআন তিলাওয়াত এবং দোয়ার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায়। সেই হিসেবে দেশের স্বার্থে কওমি মাদ্রাসার কোরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ অব্যাহত রাখার অনুমতি প্রদান করা হোক।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুনির কাসেমী প্রমুখ।
গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা হয়।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় একটি রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাও করে স্থানীয় লোকজন। তখন মামুনুল দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
মামুনুল ইস্যুতে অনেক হেফাজত নেতা বিব্রত বলে জানালেও কেন্দ্রীয়ভাবে তার ব্যাপারে কোনো অবস্থান জানায়নি আলোচিত সংগঠনটি।