যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীরা প্রায় স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবেন। সংস্থাটির নতুন এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টিকা গ্রহণকারীরা অন্য টিকা গ্রহীতাদের সঙ্গে এবং কিছু ক্ষেত্রে টিকা না নেওয়াদের সঙ্গেও স্বাভাবিকভাবে সাক্ষাত করতে পারবেন। সিডিসি বলছে, টিকার চূড়ান্ত ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর থেকে গ্রহীতাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বিবেচনা করা যাবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত তিন কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নতুন নিরাপত্তা গাইডলাইন ঘোষণা করেছেন।
নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে টিকার ডোজ পূর্ণ করা ব্যক্তিরা ঘরের অভ্যন্তরে পূর্ণ ডোজ নেওয়া অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই সাক্ষাত করতে পারবে। এছাড়া তারা একটি বাড়িতে থাকা ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাত করতে পারবে। এমনকি লক্ষণ দেখা না গেলে করোনা পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টিনও এড়িয়ে যেতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের করোনা টাস্কফোর্সের সিনিয়র উপদেষ্টা অ্যান্ডি স্লাভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোভিড-১৯ পেছনে ফেলার পর দুনিয়া কেমন হবে তা আমরা বর্ণনা করতে শুরু করেছি। যত বেশি মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন… তত বেশি কার্যক্রম বাড়তে থাকবে।’
তবে টিকা গ্রহণকারীদের এখনও কিছু মৌলিক নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে। যেমন প্রকাশে মাস্ক পরে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বড় ধরনের ভিড় এবং ভ্রমণ এড়িয়ে চলা।
যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক সপ্তাহে প্রতিদিন টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত নয় কোটির বেশি ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা অনুমোদন পাওয়ার পর টিকার সরবরাহও বেড়েছে।
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এখনও কোভিড-১৯ মারাত্মক উদ্বেগের কারণ। সিডিসি’র পরিচালক ড. রোচেলে ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘৯০ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠী এখনও টিকা নেয়নি। প্রতিদিন ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আমাদের দায়িত্ব হলো সবচেয়ে স্পর্শকাতরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৯০ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষের।