৬ মে (বুধবার) বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। এ দিনে মহামানব ভগবান বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ দিবস। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এবার সব বিহার, প্যাগোডায় শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হবে না। শুধুমাত্র বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘরা বিহারের ভেতরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয়কার্য সমাধা করবেন। অন্যন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ধর্মীয় কার্য প্রতিপালন করবেন।
দেশের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রবিবার (৩ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ-বাংলাদেশ, বনভন্তে শিষ্য সংঘসহ দেশের সব অঞ্চলের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো আলোচনা করে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন বাড়িতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায় এ দিবসটি অত্যন্ত ঝাঁকজমক পরিবেশে উদযাপন করে থাকে। এ দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা হয়। বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন,‘আমরা নিজ নিজ বাড়িতে ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করে আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রিয় মাতৃভূমিকে করোনাভাইরাস মুক্ত রাখবো। ভগবান বুদ্ধের আহ্বান অনুযায়ী, আমরা করোনাকালে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দান হস্ত প্রসারিত করবো।’