বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। এ সময় তিনি বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব দেবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ সম্পর্কে কোনো কোনো সময় নেতিবাচক প্রচারণা বিদেশে হয়। আমরা সেই নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে সেখানে দুয়েকটা মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দেব। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতিবাচক প্রচারণার জবাব দেওয়া। যেমন ধরুন- বলা হয় আমরা খুব বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করি। একেবারে মিথ্যা কথা। আমাদের দেশে কালেভদ্রে দুয়েকটা হয়। আমেরিকাতে পুলিশ অনেক লোক মারে, ইচ্ছা করে মারে না, মরে যায়। গত এক বছরে দেখেন ১০০৪ জনকে পুলিশ মেরে ফেলেছে। উইদাউট ডিউ প্রসেস অব দি ল’। ইচ্ছা করে তো মারে না, বিভিন্ন কারণে মারা যায়। আর আমাদের এখানে মনে হয়, যেন আমরা ইচ্ছা করে করেছি!’
সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।
বাইডেন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিন দিনের সফরে সোমবার রাতে তিনি ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন।
তবে কোন কোন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিডিয়া হাউজ ওদের ওপর নির্ভর করবে।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তিতে যুক্তরাষেট্রর নতুন সরকারের কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা এর আগেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। নতুন সরকারকেও আমরা একই রকম আমন্ত্রণই জানাব।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা যাচ্ছি, এখানে আমাদের কয়েকটি মিটিং আয়োজন হয়েছে। বিশেষ করে নতুন সরকার আসছে। নতুন সরকারের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন চাই। আমি ব্রড বেইজড আলাপ করব। তারা নতুন একটা ফরেন পলিসি দিয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এখানে ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেসব আমরা তাদের তুলে ধরব। সুতরাং তারাও আমাদের সেভাবে দেখে।
তিনি জানান, সফরে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং চেয়ারম্যান অব দি সেনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন।
মোমেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে, আর আমেরিকাও অনেক বড় দেশ। তাদের সঙ্গে যদি আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারি, দিজ ইজ এ উইন-উইন। আমাদের দেশে এখনে অনেক কিছু অফার করার সুযোগ আছে। আমেরিকা এক নম্বর ইনভেস্টর ইন বাংলাদেশ। মোস্টলি ইন এনার্জি সেক্টর আবার অন্যান্য সেক্টরও আছে। আমরা এখন ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টর ওপেন করেছি। উই ওয়ান্ট টু ব্রডেনিং।